
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তা পরিচয়ে ফোন করে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র/ভুয়া দুদকের অনৈতিক সুবিধা চাওয়ার বিষয়ে দেশের সবাইকে সতর্ক করছে আসল দুদক বা দুর্নীতি দমন কমিশন।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একাধিক সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র মোবাইল ফোনে দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের হয়েছে মর্মে ভীতি প্রদর্শন করে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আশ্বাস ও ভয়ভীতি দেখিয়ে সরকারি চাকরিজীবী-ব্যবসায়ী-বেসরকারি ব্যক্তিদের কাছে অনৈতিক আর্থিক সুবিধা দাবি করে আসছে।
প্রতারণার ফাঁদে পড়ে কেউ কেউ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মর্মে তথ্য পাওয়া গেছে উল্লেখ করে বলা হয়, এ সকল প্রতারকচক্র নিজেদের সঠিকতা জাহির করার জন্য কমিশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ছবি, অফিস আইডি কার্ড, ফেসবুক ক্লোন করাসহ নানাবিধ উপায় অবলম্বন করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনে দুদকের টোল ফ্রি হটলাইন-১০৬ নম্বরে জানানোর অনুরোধ করা হলো।
সবার অবগতির জন্য বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুদকে কোনো অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য গৃহীত হলে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা লিখিতভাবে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অবহিত করে থাকেন। এছাড়া দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা কর্তৃক অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মোবাইলে যোগাযোগ করা দাপ্তরিক ভাবে নিষিদ্ধ।
তাছাড়া এ সকল ‘ভুয়া দুদক’ বা সংঘবদ্ধ প্রতারকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে দুদক দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করছে। পাশাপাশি সম্মানিত নাগরিকবৃন্দের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বার বার গণমাধ্যমের সহযোগিতায় প্রেসবিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হচ্ছে।
এ ধরনের কল্পিত কোনো অভিযোগ হতে অব্যাহতি বা ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে কোন প্রতারক কোনো প্রকার অনৈতিক অর্থ বা সুবিধা দাবি করলে নিকটস্থ থানা অথবা র্যাব কার্যালয়ে জানানোর অনুরোধ করা হলো।
উল্লেখ্য, দুদক বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন, নিয়ন্ত্রণ, ও দুর্নীতি প্রতিরোধে গঠিত একটি কমিশন যা একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও স্বশাসিত সংস্থা।